দেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে ই-স্মোকারের সংখ্যা
বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ
মাজহার মিচেল: ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্ক (আইপিএন) কর্তৃক বাংলাদেশে নতুন পণ্য বিস্তারে তামাক শিল্পের কূটকৌশল শীর্ষক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) গবেষণার ফলাফল প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তারা আরও জানান বাংলাদেশে ২০১২ সালে যখন ই-সিগারেট বিক্রি শুরু হয় তখন কেবলই রাজধানীর কিছু অভিজাত এলাকার অল্প কিছু দোকানে এ সিগারেট পাওয়া যেত যা মোট সিগারেটের দোকানের প্রায় ২২ শতাংশ ছিল। মাত্র পাচ বছরের ব্যাবধানে এটি ৭৮ শতাংশে গিয়ে পৌছায়।
নতুন ও পুরাতন দোকানগুলোতে এর বিক্রি দিন দিন বাড়ছেই। তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কূটকৌশলের কারণে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার ও নতুন এই তামাক পণ্যের বাজার জ্যামিতিক হারে বিস্তৃত হচ্ছে বলে তারা উল্লেখ করে।
আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করে গবেষণায় বলা হয় ই-সিগারেটের বাজার সম্প্রসারণ রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের (এনটিসিসি) অধীনে একটি পৃথক বিভাগ গঠন দরকার।
বাংলাদেশে নতুন পণ্য বিস্তারে তামাক শিল্পের কূটকৌশল শীর্ষক গবেষণাটি যৌথভাবে সম্পাদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ও গণমাধ্যমকর্মী এহসানুল হক জসীম এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক সৈয়দ সাইফুল আলম। ছয় মাসব্যাপী মাঠ পর্যায়ের এই গবেষণাটি পরিচালিত হয় ২০২২ সালে।
ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম মাওলার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বারডেমের ডেন্টাল বিভাগের প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. নাসির উদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ ক্যানসার সোসাইটির প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. মহিউদ্দীন ফারুক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এর চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, দ্য ইউনিয়নের কারিগরি পরামর্শক সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন এবং স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞাপন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার।
Pages
- About IPN
- Who we are
- Board of Trustees
- Board of Directors
- Board of Advisors
- International Advisors
- Core Staff